ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি এর জন্য সব প্রতিবেশী দেশকে অগ্রাধিকার দেন।
শুক্রবার (২১ জুন) রাতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা নয়া দিল্লিতে সফররত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
খবর বাসস
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমরা আপনাদের স্বাগত জানাই।”
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলতেন ‘প্রতিবেশী সবার আগে’ এবং তিনি বাংলাদেশের সব প্রতিবেশী দেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য অগ্রাধিকার দেন।”
বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সিইওদের বলেন, তারা এটা ব্যবহার করতে পারেন এবং সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া সিইওরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে চান।
সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করছেন তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী।
সিআইআই পক্ষের সিইওরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করতে চান। এক্ষেত্রে তারা বিশেষ করে কৃষি, আইটি ও লজিস্টিক সেক্টরে যৌথভাবে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তারা ভারতের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে আইটি খাতে তাদের সাফল্য তুলে ধরেন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে বাংলাদেশে সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চান।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নিজ দেশে বিরাজমান সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
সিইও-রা নন-ট্যারিফ বাধা সম্পর্কেও কিছু বিষয় উত্থাপন করলে এই বিষয়ে সালমান এফ রহমান জানান, তাদের (সিআইআই) এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য তাদের (ভারত) সরকারকে বলতে বলা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমদ, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া আইটিসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব পুরী, সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, অ্যাপোলো হসপিটালস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপারসন শোবানা কামিনেনি, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাধব বৈদ্য, ডাবর ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিইও মোহিত মালহোত্রা, অমৃত সিমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ কুমার বাগলা, আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সিইও (এনার্জি) দীপক অমিতাভ, সাংখ্য ল্যাবসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিওও বিশ্বকুমার কয়ারগাড্ডে, সিটিও এবং তেজস নেটওয়ার্কস লিমিটেডের (টাটা গ্রুপ কোম্পানি) প্রতিষ্ঠাতা ড. কুমার শিবরাজন, সিআইআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মারুত সেন গুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।