প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে চীনে দ্বিপক্ষীয় সফরে গিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০৪) অবতরণ করে।
এর আগে ফ্লাইটটি চীনের স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে।
বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত অবস্থানকালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং–এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং–এর সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করেন।
সফরের শেষ দিন ১০ জুলাই বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশ ২১টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে এদিন সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গ্রেট হল অব দ্য পিপল প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চীনের প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার বিকেলে বেইজিং পৌঁছান।
এদিকে বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ে বৈঠকের পর ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং আজ বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহায়তা হিসেবে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সব বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।