সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, বরং শান্তিতে থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে।”
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সিলেকশন বোর্ড ২০২৩ এ ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির স্বার্থে বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যেহেতু আমরা জাতির পিতার দেওয়া নীতি অনুসরণ করছি, তাই আমরা সবার সঙ্গে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা।”
দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার সফলভাবে দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করছে।”
জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আমরা কারও সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হব না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। বর্তমান সরকার সফলভাবে এই ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”
নৈতিকতা, ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে জ্ঞান, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দায়িত্ববোধ ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বাছাইয়ে বিচক্ষণ ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করার জন্য নির্বাচন বোর্ডকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নেতৃত্বের পদের জন্য আপনাদের এমন কর্মকর্তা বেছে নেওয়া উচিত যারা যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শী এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের বিচক্ষণতা প্রয়োগের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম।”
সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি দুর্যোগে তারা সবসময় জনগণের পাশে থাকে। আপনারা জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।”
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সরকার সফলভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং বিশ্ব মঞ্চে এর মর্যাদা তুলে ধরেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করেছি। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ভাবমূর্তিও তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হতে সক্ষম হয়েছে।”
-বাসস