• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্য ব্যক্তিগত : তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্য ব্যক্তিগত : তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (৭ জুন) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

একদিন আগেই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু জানান, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনে জাতিসংঘ প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “আমির হোসেন আমু আমাদের ১৪ দলের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তার এ বক্তব্য নিয়ে আমাদের দলের মধ্যে, সরকারের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি ১৪ দলের মধ্যেও কোনো আলোচনা হয়নি। এটি সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত বক্তব্য।”

হাসান মাহমুদ বলেন, “তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তিনি বলেছেন গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক, এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। দল, সরকার কিংবা ১৪ দলের কোথাও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।”

তিনি বলেন, “যেভাবে ভারতে নির্বাচনকালীন সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্যেও পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও পদত্যাগ করেন না। তিনিও নির্বাচনকালীন সময় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। যেভাবে সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে ঠিক সেভাবে আমাদের দেশেও বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কি হবে না হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায়, তাদের অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনকে আমাদের সরকার সর্বাত্মক সহায়তা করবে, যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক, উৎসবমুখর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা চাই, সে নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সেটাই আমরা চাই। নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো প্রসঙ্গ থাকে বিএনপিকে সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কারণ নির্বাচন আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন ডাকলে আমরাও যাব।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে, ৫০০ ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে, দুজন প্রিজাইডিং অফিসারকে হত্যা করেছে এবং সাড়ে ৩ হাজার মানুষ পুড়িয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপি আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটিই মির্জা ফখরুল সাহেব আবার বলেছেন। কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা নির্বাচন বর্জন করা সম্ভব হবে না। বিভিন্ন সময় তারা এ রকম অনুযোগ বিদেশিদের কাছে করে এসেছে। এবার তাও করা সম্ভব হবে না। দেশে অবশ্যই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি, করবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তা নয়, তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন ভন্ডুল করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা। কিন্তু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ মুখ্য বিষয়।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!