বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “পুলিশ আপনাদের, র্যাব আপনাদের, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আপনাদের, নিরাপত্তাবাহিনী আপনাদের। আর বলছেন যে, বিএনপি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। ওবায়দুল কাদের সাহেব... আপনি যতই চিৎকার করেন, দেশবাসীর কাছে এটি প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অপর নাম সিন্ডিকেট আর লুটপাট।”
শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘এখন যে দ্রব্যমূল্য হু হু করে বাড়ছে, নিম্ন আয়ের মানুষ একেবারে রাস্তার মধ্যে ধুলার মধ্যে মিশে গেছে—আপনি (ওবায়দুল কাদের) এগুলো আড়াল করতে চান এসব কথাবার্তা বলে...ধূম্রজাল সৃষ্টি করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ সবই জানে, জনগণ সবই দেখছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, “বিএনপির নেতারা তো কেবল জেল থেকে বেরোচ্ছেন। এখনো শত শত নেতা-কর্মী কারাগারে। আর সিন্ডিকেটের মতো এ রকম প্রভাবশালী চক্র যে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া হয় না এটা শুধু বাংলাদেশ না গোটা পৃথিবীতেই প্রমাণিত। কারণ একটা পৃষ্ঠপোষকতা লাগে...ক্ষমতার একটা ছায়া লাগে...তখনই সিন্ডিকেটবাজরা দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকে।”
রিজভী বলেন, “মানুষ কাতরাচ্ছে ক্ষুধায়, কাতরাচ্ছে বিশুদ্ধ পানির জন্য, কাতরাচ্ছে কোনো রকমে বেঁচে থাকার জন্য। এই কাতরানি আপনারা শুনতে পাচ্ছেন না। আপনারা ক্ষমতার মসনদের ঝাড়বাতির আলোর মধ্যে আছেন তো তাই মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যে অন্ধকার পড়েছে সেই অন্ধকার আপনারা দেখতে পারছেন না।”
রিজভী বলেন, “কোনো কিছু সামাল দিতে না পেরে, সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে, এখন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইফতার ভাঙার কর্মসূচিতে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই তারা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে ও আলেম সমাজের ওপর নিপীড়ন নেমে আসে। এর কারণ প্রভুদের খুশি করা।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সভা ও সব ধরনের অনুষ্ঠান বিদ্যমান। এসব অনুষ্ঠান ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ সাহেবদের সাড়ম্বর উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে, অথচ ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা ও হামলা—এটা কি গভীর চক্রান্তের অংশ? মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে গেলে ওবায়দুল কাদের সাহেবদের গা জ্বালা করার অর্থ কি?”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে কখনো ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুড়ে ফেলে দেয়। দেশবাসী ভোট-পার্লামেন্ট হারিয়েছে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন হারিয়েছে, শেষমেশ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানেরা নিজেদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধও হারাতে বসেছে।”