• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৩ শা'বান ১৪৪৬

ভাষাশহীদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৯:১৩ এএম
ভাষাশহীদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
ছবি : সংগৃহীত

গৌরবের অমর একুশে আজ। ভাষার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে সর্বস্তরের মানুষের।

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসছেন শহীদ মিনারে। ফুল হাতে নিয়ে শোকের আবেশে সাদা-কালো পোশাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হচ্ছেন। মা-বাবার সঙ্গে ছোট শিশুরাও ফুল হাতে নিয়ে এসেছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে।

২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে ১২টা ২ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ মিনারে ফুল দেন। ফুল দেওয়া শেষে ১২টা ৩ মিনিটে তিনি শহীদ মিনার ত্যাগ করেন।

এর পর ১২টা ১২মিনিটে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধান উপদেষ্টা ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাত ১২টা ৪০ থেকেই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় শহীদ মিনার।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশনা অনুযায়ী, বেলা ৩টা পর্যন্ত বকশিবাজার থেকে জগন্নাথ হল ক্রসিং, চাঁনখারপুল থেকে রমনা চত্বর ক্রসিং, টিএসসি থেকে শিববাড়ী ক্রসিং এবং উপাচার্য ভবন থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং সড়কে প্রবেশ বন্ধ।

১৯৫২ সালের এই দিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ব বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিনটির স্বীকৃতি এখন বিশ্বজুড়ে। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেওয়ার পর ইউনেসকো বাংলাদেশের সঙ্গে ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে। এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্যারিসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তীর বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে থাকছে বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশনা। এই অনুষ্ঠানে ইসলাম উদ্দিন পালাকার, ‘কথা ক’খ্যাত র‌্যাপার সেজান, শূন্য ব্যান্ডের এমিল, নারী ব্যান্ড দল এফ মাইনর, পারশা মাহজাবীন, টুনটুন বাউল, জালাল, মিথুন চক্র, জাহিদ নীরব প্রমুখের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

Link copied!