ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হেনে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রম করে ভারতের আসামের দিকে যাচ্ছে। এদিকে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি থামার পর সোমবার রাত থেকেই লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়া শুরু করেছে।
সিত্রাং সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ভোলার পাশ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে। ঝড়ের তাণ্ডবে ছয় জেলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সরকার জানিয়েছে, ঝড়ের আগে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড় কমে আসায় তারা আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার রিজাউল করিম জানান, ঝড়-বৃষ্টি থামার পর রাতেই মানুষ বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেন। যারা ছিলেন তারা আজ সকালে বাড়ি ফিরে গেছেন। রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুনিরা পারভীন জানান, যাদের বাড়িঘর কাছাকাছি ছিল তারা রাতেই ফিরে গেছেন। বাকি যারা ছিলেন, তারা ভোর থেকে সকালের মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকেই লোকজন বাড়ি যেতে শুরু করেছেন। এখন যেহেতু আবহাওয়া ভালো, ঝড় ও বাতাস কমে গেছে তাই তারা বাড়ি ফিরছেন।”
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের আঘাত হানার ঘণ্টাখানেক পরেই ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি থেমে যায়। তারপর রাত থেকেই লোকজন বাড়িমুখী হতে শুরু করে। যারা ছিলেন তারা মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে গেছেন।