মুক্তা পানি দেশের সেরা বোতলজাত পানির ব্র্যান্ড হবে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি বলেছেন, “শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উৎপাদিত মুক্তা পানি থেকে আয় করা অর্থ তাদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। এই পানিকে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুণবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে মুক্তা পানির প্রমোশনাল কার্যক্রম, রোড শো ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, “বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে এসেছে। তারা সমাজে মাথা উঁচু করে জীবনযাপন করছেন। প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
নুরুজ্জামান আহমেদ আরও বলেন, “বিগত সরকারগুলো প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছুই করা হয়নি। মৈত্রী শিল্প ছিল একটি রুগ্ন শিল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এ প্রতিষ্ঠান এখন লাভজনক হয়েছে। মুক্তা পানি গুণগত মানে সেরা একটি বোতলজাত পানি। আধুনিক মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে এ পানিকে দেশ-বিদেশে পৌঁছে দিতে হবে। মৈত্রী শিল্পের উন্নয়নে আরও পুঁজি প্রদান করা হবে।”
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা হলে তারা স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।”
রাশেদ খান মেনন বলেন, “প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূলধারায় আনতে হবে। তাদের বাদ দিয়ে সমাজের অগ্রগতি সম্ভব নয়।”
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এস শামীম রেজা।
পরে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য রোড শো অনুষ্ঠিত হয়।