• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
ফাইল ছবি

কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণ মামলায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং ওই কলেজটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশ। তবে এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে করা নারাজি আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এই আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আগামী ২৯ এপ্রিল পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা গ্রহণের আদেশ দেন। তবে মামলাটির তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মুশতাক মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ নেওয়ার নামে মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর মুশতাক তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবেন বলে হুমকি দেন।

মেয়েটি কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা মুশতাককে তার কক্ষে নিয়ে আসেন এবং ক্লাস থেকে ছাত্রীকেও এনে দরজা বন্ধ করে দেন। উপায় না পেয়ে ১২ জুন মেয়কে তার বাবা ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে মুশতাক তার লোকজন দিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর জানা যায় ছাত্রীকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হচ্ছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।

Link copied!