• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জরুরি বিভাগের সামনে শুয়ে পড়েন রোগীরা, স্বজনদের আহাজারি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম
জরুরি বিভাগের সামনে শুয়ে পড়েন রোগীরা,  স্বজনদের আহাজারি
রোগীর স্বজনদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদ ও নিরাপত্তার দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকরা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে ঢামেকের জরুরিবিভাগসহ সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে শত শত রোগী। অনেকেই কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছেন। রোগীদের কেউ কেউ জরুরি বিভাগের সামনে শুয়ে পড়েছেন।

চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অনেকেই যন্ত্রণায় সহ্য করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরি চিকিৎসার জন্য আনা রোগীদের নিয়ে কী করবেন- বুঝতে পারছেন না কেউ। রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের আহাজারির দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

এর আগে ঢামেক নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ বলেন, দেশের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, চেম্বার ও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কমপ্লিট শাটডাউন চলবে। এই সময়ে কোনো সেবা দেওয়া হবে না।

চার দফা দাবি জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, দাবি আদায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে সবধরনের চিকিৎসাসেবা খাতে কমপ্লিট শাটডাউন চলবে।

শাটডাউনের সময় চিকিৎসার অভাবে কেউ মারা গেলে সেই দায় কার—এমন প্রশ্নের জবাবে আন্দোলনকারীরা বলেন, “সেই দায় সম্পূর্ণ প্রশাসনের। তারা যত দ্রুত এই দাবি মেনে নেবে, আমরাও তত দ্রুত চিকিৎসাসেবায় ফিরব।”

চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো-
১. হাসপাতালের মতো একটি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যে সকল ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সকলকে চিহ্নিত করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
২. নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশের সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আর্মড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর (ভিজিটর কার্ডধারী) ব্যতীত বহিরাগত ব্যক্তি বা মহল কোনোভাবেই হাসপাতালে ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না, যা স্বাস্থ্য পুলিশের (আর্মড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. হাসপাতালে রোগীর সেবাপ্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসংগতি/অবহেলা পরিলক্ষিত হলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ প্রদানের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

প্রসঙ্গত, এর আগে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারধর করা হয়। আরেক ঘটনায় জরুরি বিভাগে ঢুকে বহিরাগতরা ভাঙচুর চালায়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।

Link copied!