গুলশান এলাকাকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বলা হয়। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এলেই সব গ্লানি দূর করে নতুনকে আপন করে বাসন্তী সাজে নাচে-গানে বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া হয়। এবারও পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে গুলশানের বিচারপতি শাহবুদ্দীন পার্কে নানা আয়োজন করা হয়েছে।
গুলশান-বনানী-বারিধারা-উত্তরা অঞ্চলের শিল্পী ও নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে ‘অলি-গলির হালখাতা’ নামে পার্কে নববর্ষের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে নানা রঙের, নানা ঢঙের পোশাক পরে পরিবার-পরিজন নিয়ে লোকজন নববর্ষের অনুষ্ঠানে আসেন। অনুষ্ঠানে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি শিশুদের জন্য ছিল চিত্রাঙ্কন ও বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রং তুলির আল্পনায় সজ্জিত গুলশান-২ চত্বর থেকে বিচারপতি শাহবুদ্দীন পার্কের সড়ক। পার্কের গেটে কঠোর নিরাপত্তায় প্রবেশ করছেন সাধারণ মানুষ। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। তবে পার্কের ভেতরের সৌন্দর্যতে মুগ্ধ সবাই। কেউ ছবি তুলছেন কেউবা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছেন।
বনানী থেকে আসা শাহীন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “পার্কের সৌন্দর্য চমৎকার। অনেক সুন্দর করে পার্ক সাজানো হয়েছে। পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগছে। এমন আয়োজন প্রতিবছর চালু থাকলে আমাদের জন্য ভালো হবে।”
অভিজাত এলাকায় বৈশখাকে বরণ করে নিতে নানা আয়োজন করায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারত, চীনা রাষ্ট্রদূতকে অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেনও উপস্থিত ছিলেন।
শুধু মনের আবর্জনা নয়, ঢাকা শহরে কেউ ময়লা-আবর্জনা ফেলব না, বাংলা নববর্ষে এমন প্রতিজ্ঞা করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পাড়ায় পাড়ায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র। বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। বাংলাদেশ মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদবিরোধী একটি দেশ।