দেশব্যাপী সর্বোচ্চসংখ্যক সিনেমা হলে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে ধন্যবাদ জানান। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, “বহু প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু বায়োপিক সারা দেশে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য আমরা তথ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয়কে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই। এখনকার যে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তারা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, পাকিস্তানিদের অত্যাচার, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা ও বাস্তব উপলব্ধি পাবে। সবার মাঝে আরও দেশপ্রেম জেগে উঠবে।”
সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আমির হামজা, আব্দুল মতিন প্রধান, চান মিয়া, বিল্লাল হোসেন, মাসুদ পারভেজ প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।
স্বপ্রণোদিত হয়ে ধন্যবাদ জানাতে আসা সিনেমা হল মালিকদের স্বাগত জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা যে এই সিনেমা নির্মাণ সমাপ্ত করতে পেরেছি, এই জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ এই ছবি চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে প্রতি ধাপে ধাপে প্রধানমন্ত্রী মনিটর করেছেন, দেখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। শ্যাম বেনেগাল যদি পরিচালক হন এখানে নির্দেশক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্ক্রিপ্ট রাইটার যদি অতুল তেওয়ারি হয়ে থাকেন তাহলে স্ক্রিপ্ট রাইটারের প্রধান উপদেষ্টাও হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি একটুও বাড়িয়েও বলছি না, যেটি বাস্তব সেটিই বলছি।”
বঙ্গবন্ধু বায়োপিক সত্যিকার অর্থে ইতিহাসের একটি দলিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হলেন সেটিও এই ছবির মধ্যে উঠে এসেছে। ভারতের পুরো টিম মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আসছে। এই ছবি মানুষ দেখবে। এই ছবি জাতিকে নাড়া দেবে।”
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি হল মালিকদের ধন্যবাদ জানাই, দেশের প্রায় সব হলে প্রায় ২০০ পর্দায় একসঙ্গে ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে এবং সবাইকে অনুরোধ জানাবো হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখার জন্য।”