বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) গণহত্যার মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন।
এদিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
সকালে কড়া নিরাপত্তায় তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গণহত্যার মামলার তদন্তের সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানাবে তদন্ত সংস্থা বলেও জানা গেছে।
যাদেরকে হাজির করা হলো তারা হলেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেকমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম। অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় আজ হাজির করা হয়নি না সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাককে।
জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়েছে। বর্তমানে অন্য মামলায় তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন।
২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের হাজির করার আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন: বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।