প্রায় দেড় বছর পর জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ ৪ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে নতুন দর কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেশে প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের ঘোষিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে দেখা যায়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে দাম কমেছে ৭৫ পয়সা। পেট্রলে ৩ টাকা ও অকটেনে কমেছে ৪ টাকা।
এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা। ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হয়। অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২৬ টাকা। আর পেট্রলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২২ টাকা।
এর আগে রোববার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “নতুন ফর্মুলায় দেশে প্রথমবার জ্বালানি তেলের দাম ঘোষণা করা হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আমরা চাচ্ছি, প্রতি মাসে প্রাইসিংয়ের অ্যাডজাস্টমেন্ট হোক। আমরা আশা করছি, এই মাসে যদি প্রাইসিংয়ের অ্যাডজাস্টমেন্ট শুরু করতে পারি, এতে কিছুটা জ্বালানি তেলের সাশ্রয় হবে দামের ব্যাপারে।”
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা সামনের বার যদি দেখি ওয়ার্ল্ড মার্কেটে জ্বালানির দাম কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে। সো, এটার একটা ভালো দিক আছে।”
কোন তেলের দাম সবচেয়ে কমতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, “আমাদের মেইন টার্গেট ডিজেল, যেটা বেশি ব্যবহার হয়। আমাদের সেচে ব্যবহার হয়, আমাদের ট্রান্সপোর্টগুলোতে ব্যবহার হয়, ট্রাকে ব্যবহার হয়, বাসে ব্যবহার হয়। পাবলিক যাতে সুবিধা ভোগ করতে পারে। এটা চাচ্ছি আমরা।”
এসময় জ্বালানি তেলের দাম কমলে গণপরিবহনসহ সব ধরনের পরিবহন ভাড়া কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা অনেক সংস্থাকে যখন বলি, দাম কমলে কেন কমাও না? এ বিষয়টা তখন কনফার্ম হয়ে গেল। আর যদি দাম কখনো বাড়ে ওয়ার্ল্ড মার্কেটে, তখন সেখানেও একটা অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে। সেভাবেই আমরা চাচ্ছি। তেলে যদি প্রতি মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে করতে পারি, তাহলে অবশ্যই ট্রান্সপোর্ট থেকে সব বিষয়ে সাশ্রয় হওয়া উচিত।”
এদিকে, পরিবহনের ভাড়া নিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। জ্বালানি তেলের দাম কমায় গণপরিবহনের ভাড়া কমবে বলে ধারণা করছেন অনেকে।