ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, মাদক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ সবগুলো নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হচ্ছে বলে জানালেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে আইজিপি বলেন, “কোনো ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পাবে না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। রাজনৈতিক পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশপ্রধান এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, “আমরা দেখছি, অনলাইনে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সেগুলো ফ্যাক্টচেক করে দেখা গেছে অধিকাংশই গুজব এবং মিথ্যা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা কী ধরনের আচরণ করবো সে ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। আমরা যেকোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলাজনিত অবনতি ঘটনা প্রতিহত করতে চাই।”
পুলিশপ্রধান বলেন, “রোববার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শেষ হবে। বিসর্জনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে পূজামণ্ডপে প্রায় সোয়া দুই লাখ আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর ৭৫ হাজার সদস্য প্রত্যক্ষভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। এছাড়া সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন আছে।”
মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, “আমাদের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে। যখনই পূজা সংক্রান্ত যেকোনো সংবাদ পাচ্ছি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা অপতৎপরতা চালাতে চায় তারা মুষ্টিমেয়।”
এ সময় ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।