হজের ৩০ শতাংশ খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়। এটি শুধু দেশটির হজযাত্রীদের জন্য, কিন্তু বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি সরকার ২০২৩ সালের হজযাত্রীদের হজব্রত পালনের খরচ ৩০ শতাংশ কমিয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ৩০ শতাংশ খরচ কমানোর বিষয়টি শুধু সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশ কিংবা অন্যান্য দেশের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।
হজের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে যেন কোনো ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, সেজন্য বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, চলতি বছর হজ পালনে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি করেছে বাংলাদেশ। গত ১৫ জানুয়ারি ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের জানান, সম্পাদিত হজচুক্তি অনুযায়ী করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে এ বছর বাংলাদেশের কোটার পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন। এ বছর সর্বমোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে গমন করবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করবেন।
এ বছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ৬৫ বছরের বেশি বয়সী হজযাত্রীরা হজে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
হজ প্যাকেজের মূল্য গত বছরের মতো রাখার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তারপরও কিন্তু খরচ বাড়বে। রিয়ালের দাম ছিল ২১ টাকা ২২ টাকা, এখন হয়েছে ৩০ টাকা। তাহলে ৩৩ শতাংশ তো এমনিই বেড়ে গেল। আমরা কোনো কিছু বাড়ালাম না, কিন্তু ৩৩ শতাংশ যে বাড়ল সেটা কীভাবে কমাবেন।”
আগামী ২৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে চলতি বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ফরিদুল হক খান।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।