• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বেড়েছে পেঁয়াজ আমদানি, কমেছে দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম
বেড়েছে পেঁয়াজ আমদানি, কমেছে দাম
ফাইল ছবি

সিন্ডিকেটের বাজারে আমদানি বাড়ায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বিকেল পর্যন্ত ১৫ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে।  

সম্প্রতি ভারত সরকারের শুল্ক আরোপ করার পর দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা। তবে আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম খুব একটা বাড়বে না বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর এই দুই জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পেঁয়াজের ওপর শুল্ক আরোপের খবরে রোববার (২০ আগস্ট) বন্দরে আমদানি করা ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। যা শনিবার ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

সোমবার (২২ আগস্ট) বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ কিছুটা কমে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকি। তবে গতকালের চেয়ে আজ পেঁয়াজের বাজার কিছুটা কম। রোববার বন্দর থেকে প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৫৫, আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে কিনতে হয়েছিল। পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমায় বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনতে আমাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে আজ নতুন পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দাম কমে এসেছে। বর্তমানে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনও যে দাম রয়েছে তাতে কিনতে যেমন সমস্যা হচ্ছে, মোকামে বিক্রি করতেও সমস্যা হচ্ছে।”

পাইকাররা বলছেন, শনিবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে গেলাম প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। শুল্ক আরোপের খবরে সেই পেঁয়াজ রোববার হলো ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। বাড়তি দামের কারণে আমরা সেদিন পেঁয়াজ কিনতে পারিনি। সোমবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ৪৮ থেকে ৫৩ টাকা কেজি দরে প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির ফলে পেঁয়াজের দাম একটু কমলেও, আগের চেয়ে বেশিই আছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা বলেন, বন্যার কারণে ভারতেই পেঁয়াজের উৎপাদন কমায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যে কারণে তাদের সরকার পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং পেঁয়াজ রফতানিতে নিরুৎসাহিত করতে গত শনিবার রাতে রফতানির ওপর ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে। কিন্তু কেজিপ্রতি কত টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে, সেটি নির্ধারণ না হওয়ায় রোববার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমে যায়।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, “ভারত সরকার পেঁয়াজের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে রোববার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমে যায়। এদিন বন্দর দিয়ে মাত্র সাতটি ট্রাকে ২১১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। তবে সোমবার থেকে বন্দর দিয়ে নতুন শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এদিন বন্দর দিয়ে ৫৯টি ট্রাকে ১ হাজার ৭৯১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। আজ (মঙ্গলবার) বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।”

Link copied!