রাজধানীসহ সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন চলছে। এ কর্মসূচির সমর্থনে রোববার (৪ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন জেলায় রাস্তায় নামেন ছাত্র-জনতা। এতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৩২ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জে দুইজন, রংপুরে দুইজন এবং বগুড়ায় দুইজন, মাগুরায় দুইজন, কুমিল্লায় একজন এবং কিশোরগঞ্জে একজন, পাবনায় একজনসহ অন্যান্য এলাকায় আরও ২১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কুমিল্লায় নিহত ১
কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক সড়কে দেবীদ্বার বারেরা নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালীন সংঘর্ষে একজন নিহত হন। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া।
মুন্সীগঞ্জে নিহত ২
মুন্সীগঞ্জে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে দুইজন মারা গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। রোববার সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘটে।
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত
মাগুরায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এ সময় সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। রোববার বেলা ১১ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সকালে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়, রাবার বুলেট ও গুলি নিক্ষেপ করে। এ সময় নিহত হন রাব্বী।
রংপুরে নিহত ২
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন।
বগুড়ায় ২ জন নিহত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে বগুড়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে দুইজন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। বগুড়ার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাজারো বিক্ষোভকারী। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রাস্তায় আগুন দিয়েছে তারা।
পাবনায় নিহত ২
পাবনার খেয়াঘাট মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিল থেকে গুলি চালানো হলে দুইজন নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা এই গুলি চালান। বিক্ষোভকারীরা এরপর তার গাড়ি পুড়িয়ে দেন। এই ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক।
