রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণে সব মুসলিম দেশকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন ওআইসি মহাসচিব ইব্রাহিম তাহা।
রোববার (২৮ মে) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা জানান। বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়ের করা গাম্বিয়ার মামলার খরচ চালাতে সদস্য দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং হোসেন ইব্রাহিম তাহা।
বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতন ও ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে একজোট হতে মুসলিম দেশগুলোকে আহ্বান জানানোর তাগিদ আসে এই বৈঠকে। পরে ওআইসি মহাসচিবের সম্মানে দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন ওআইসিভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা।
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিজেতে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন গাম্বিয়ার তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবু বকর তামবাদু। এতে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনেন তিনি।
২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় ৫০০-পৃষ্ঠারও বেশি একটি স্মারক দাখিল করে। যেখানে দেখানো হয়, কীভাবে তৎকালীন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। স্মারকটিতে গাম্বিয়ার মামলার সমর্থনে ৫ হাজার পৃষ্ঠারও বেশি সহায়ক উপাদান সংযুক্ত করা হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমারে সামরিক দমন-পীড়নের ফলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করে। জাতিসংঘ যাকে ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ বলে অভিহিত করেছে।