পাঁচ দাবি নিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমডিসিএল) ১০-২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) কোম্পানিটির কর্মচারীরা এ কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
তাদের দাবিগুলো হলো
১। বৈষম্যহীন বেতন কাঠামো অর্থাৎ সকল গ্রেডের একই রকম বেতন কাঠামো যা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ২ দশমিক ৩ গুণ হারে যোগদানের তারিখ থেকে বকেয়াসহ প্রদান করতে হবে।
২। সরকারি যোগদানের তারিখ থেকে বকেয়াসহ সিপিএফ সুবিধা প্রদান করতে হবে।
৩। অন্যান্য সকল সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ও অন্যান্য দেশের মেট্রোর সাথে সমন্বয় করে প্রমোশন ব্যবস্থা চালুকরণ ও সকল ধরনের ভাতাদি সম্মিলিত সার্ভিস রুল প্রদান করতে হবে।
৪। শিক্ষানবিশকাল শেষে অন্যান্য সকল সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির যোগদানের তারিখ থেকে স্থায়ীকরণ করতে হবে।
৫। স্টেশন ও ডিপোসহ সকল স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ডিউটি প্রদান করতে হবে।
কর্মবিরতি কর্মচারীরা জানান, তাদের মধ্যে দাবিগুলো নিয়ে অনেক আগে থেকেই আলোচনা চলছিল। বৃহস্পতিবার তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মবিরতি ঘোষণা করল।
এদিকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মেট্রোরেল চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. এন. ছিদ্দিক। তবে কর্মচারীদের কর্মবিরতির ঘোষণায় মেট্রোরেল চলাচল নিয়ে নতুন শঙ্কা তৈরি হলো।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গত ১৯ জুলাই তারা মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনে হামলা চালায়। এর আগে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ১৭ জুলাই বিকেল থেকে বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল চলাচল।
এই প্রেক্ষাপটে ২০ জুলাই সকালে জরুরি মেরামতের প্রয়োজনে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমডিসিএল)।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনটি মেরামাত করতে অন্তত এক বছর সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত যেকোনো সময় প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও এই দুটি স্টেশনের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতো হবে দীর্ঘ সময়।