কোটা আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাঁচ দিন পর অফিস আদালত খুলেছে। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোও খোলার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস খুলে।
সকালে রাজধানীর সড়কে অফিসগামী মানুষদের ভিড় দেখা গেছে। তবে সড়কে গণপরিবহন কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসের জন্য বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সরকারি অফিসের চাকরিজীবীদের স্টাফ বাসে করে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যেতে দেখা গেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবীরা বাস, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশায় করে অফিসে গেছেন। ঢাকার বাইরে থেকেও লোকজনকে অফিস করতে আসতে দেখা গেছে।
সকালে ১১টার দিকে খোলে সচিবালয়ও। তবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাড়ে ১১টার দিকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
কর্মকর্তারা বলছেন, বেশিরভাগই চলে এসেছে, তবে যারা আসতে পারেননি, তারাও পথে আছেন। অফিস খুললেও আজ পরিবহন পুলের গাড়ি যায়নি। যে কারণে আসতে হয়েছে ব্যক্তিগত ব্যবস্থায়। সড়কে যানবাহন কম থাকায় আসতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এদিকে সচিবালয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে সচিবালয়ে কোনো ‘পাশ’ ইস্যু করা হচ্ছে না।
কারফিউ জারি হওয়ায় রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দিয়েছিল সরকার। কারফিউ শিথিল হওয়ার পর আজ থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আজ-কাল স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিস চলবে না।
এর আগে, মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসের জন্য বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময় চলমান কারফিউও শিথিল থাকবে।