শ্রমজীবীদের সংগঠিত করতে পারলে ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদ পরাস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, “দেশে সবচেয়ে অবহেলিত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ। অতীতে ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন নেতাকর্মীরা বহু লড়াই-সংগ্রাম করেছেন এবং অনেকেই শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।”
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, “ক্ষেতমজুর এবং কৃষকদের আন্দোলন জোরদার করতে পারলে মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা রুখা সম্ভব। গ্রামে গ্রামে শ্রমজীবীদের সংগঠিত করতে পারলে ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদ পরাস্ত হবে।
ক্ষেতমজুরদের নিবন্ধনসহ রেশনিং সার্বজনীন পেনশন দাবি আদায়ে গ্রামগঞ্জে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আজকাল গরিব মানুষদের মধ্যে ঐক্য করার সংগঠকের খুবই অভাব। ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের কর্মীদের উদ্বুদ্ধ হয়ে অতীতের মতো লড়াই সংগ্রাম করতে পারলে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।”
মেনন আরও বলেন, “আমরাই ক্ষেতমজুরদের জন্য জমাবিহীন পেনশনের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। আজ সরকারকে ধন্যবাদ, তারা সার্বজনীন পেনশন আইন পাশ করেছে। যদিও আমরা হতদরিদ্রদের জন্য জামানত বিহীন পেনশনের দাবি সংসদে বারবার তুলে ধরেছি।”
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমিনুল ইসলাম গোলাপ, প্রধান বক্তা ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আমিরুল হক আমিন, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম ও অতুলন দাস আলো। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রাজু।