বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি এখনো ঠিক হয়নি। খুচরা দোকানগুলোতে দু-একটি ব্র্যান্ড ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির সয়াবিন তেল মিলছে না। এদিকে খোলা তেলেরও সংকট তৈরি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি হওয়ায় খোলা তেল কম দিচ্ছে মিলগুলো। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ১৮৫ টাকা লিটারে।
বিক্রেতারা আরও জানিয়েছেন, দাম বাড়ানো হলেও ডিলাররা এখনো খুচরা দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ শুরু করেননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও এক-দুই দিন লাগতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। ওই দিন ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন জানান, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা করা হয়। আর খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৪৯ টাকা থেকে ১৫৭ টাকা হয়। নতুন দাম নির্ধারণের পরই বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২ টাকা বেড়েছে চালের দাম। চড়া দামের জন্য মোকাম থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার অজুহাত বিক্রেতাদের।
এদিকে বাজারে আলু ও পুরাতন আলু একই দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কিনতে হচ্ছে ৭৫ টাকায়। দাম কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।
মৌসুম হওয়ায় নাগালে রয়েছে শীতের সবজির দাম।