বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই- ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং এর অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশনের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এই দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়কে বহাল রেখেছে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে, সেটা আমরা গত পরশু শুরু করে দিয়েছিলাম। এর মধ্যে এই নিষিদ্ধের যে গেজেট প্রকাশ করা হবে, সেটারও কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা আছে, সেগুলো পূরণ করতে হবে।”
আনিসুল হক বলেন, “বুধবার (৩১ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করে আমার মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠিয়েছে, এরপর সেটিকে ভেটিং করে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি, আমার মনে হয়ে, কিছুক্ষণের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই গেজেট প্রকাশ করে দেবে।”
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় জামায়াত-শিবির ও অন্যান্য যে অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধ, এটা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের যে দ্বিতীয় তফসিল আছে, সেখানে এগুলো তালিকাভুক্ত হবে। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত, আপনারা মনে হয় কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন পেয়ে যাবেন। এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।”