নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
এ ছাড়া, কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিন্নাতুন নেছা তাহ্মিদা বেগম।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পুরো কমিশন। তার সহযোগী অন্য কমিশনাররা হলেন মো. আহসান হাবীব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
শুরু থেকেই আউয়াল কমিশন ঘিরে ছিল নানা বিতর্ক। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলেও কমিশনাররা আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন ব্যক্তি বলে অভিযোগ ওঠে নানা সময়। কমিশনাররা নানা সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে হয়েছেন বিতর্কিত। সবশেষ ২০২৪-এর ডামি নির্বাচনের জন্যও এই কমিশনকে দায়ী মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।
এই কমিশনের আমলে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে ভোটের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করায় আস্থা হারায় এই কমিশন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গেছে আউয়াল কমিশন।