নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, “সংলাপের কোনো উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন নেবে না। আর নির্বাচনে কেউ না এলে কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশনের কাজ কী তা সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও আসনের সীমানা নির্ধারণ এবং সংসদ যদি আইন করে কোনো দায়িত্ব দেয় সেটা পালন করা। নির্বাচন কমিশন সংবিধানের বাইরে যাবে না।”
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি আসবে না বলেছে, আপনারাও কোনো উদ্যোগ না নিলে আপনাদের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীল বলেন, “নির্বাচনে সব দল কখনো অংশ নেয় না। অতীতেও নেয়নি। আমাদের ৪৪টি দল আছে। সবাই তো অংশ নেবে না। কেননা, ভোটে অংশ নিতে অনেক সক্ষমতার বিষয় আছে।”
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার শপথ নিয়েছি। আমাদের কাজ এইটুকুই যে ভোটার তালিকা করব, দলের নিবন্ধন দেবো আর যখন যে নির্বাচনের সময় আসবে যথা সময়ে সে নির্বাচনগুলো করব।”
মো. আলমগীর বলেন, “অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটা আমাদের বললে ব্যবস্থা নিই। এখন ঘরে ঘরে পুলিশ দেওয়া কি সম্ভব? মিছিল তো হবে প্রতি গ্রামে, পুলিশ কি সব জায়গায় যেতে পারবে? এজন্য আমাদের আগে থেকে জানাতে হবে। আমরা তখন নিরাপত্তা দিতে বাধ্য।”
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। আমরা যখন শপথ নিয়েছি, বলেছি যে সংবিধান মেনে চলব।”
ইসি আলমগীর আরও বলেন, “ভোট কবে হবে সেই সিদ্ধান্ত হবে আগামী নভেম্বরে। এর আগে বলা যাবে না। আমাদের চিন্তা হবে আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়টি। স্থানীয় আর জাতীয় নির্বাচনের আচরণ বিধির ভিন্নতা আছে। নিরাপত্তার জন্য তারা (ক্ষমতাসীনরা) যা প্রয়োজন, তা পাবেন। তবে নির্বাচনী কাজে সরকারি কিছু ব্যবহার করতে পারবে না। ভোটের খরচ, উৎস এগুলো হলফনামায় উল্লেখ করবে, সেভাবেই ব্যয় করবে।”