রাজধানীর নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে ৮ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড শুনানি চলাকালে আদালতে কামরুল ইসলাম বলেন, “সব দিন তো একরকম যায় না। এই দিন দিন নয়, সামনে ভালো দিন আসবে।”
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, “নিউমার্কেট এলাকা আমার অধীনে না। ওই এলাকার এমপি আমি নিজেও না। এ মামলায় আমাকে ৫৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমার নামটি হয়তো শেষ মুহূর্তে ভুলে এজাহারে লিখে দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে কামরুল ইসলামকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিমান্ড শুনানিতে পুলিশ জানায়, ১৯ জুলাই নীলক্ষেতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়। সেসময় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার সঙ্গে কামরুল ইসলাম সরাসরি জড়িত। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এ নেতা ধানমন্ডিসহ আশপাশের এলাকায় সেসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তার সরাসরি ইন্ধনে গুলি চালানো হয়।
তবে আসামিপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে তাকে নির্দোষ দাবি করে জামিন চান। যার বিরোধিতা করে রাষ্ট্র পক্ষ এবং রিমান্ডের স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
গত ১৯ জুলাই বিকাল ৫টায় নিউমার্কেটের ১নং গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫)। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯ জুলাই বিকাল ৫টায় নিউমার্কেটের ১নং গেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিল চলছিল। এসময় কিছু আসামির যোগসাজশ ও উসকানিমূলক বক্তব্যে ও সরাসরি নির্দেশে নিরপরাধ মানুষের ওপর গুলি করা হলে ঘটনাস্থলে মাহফুজুর রহমান, নাসির উদ্দিন, শামীম উসমান, মো. আবু মূসা, মাঈনুদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, আবির হোসেনসহ অনেক নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা ও সাধারণ পথচারী আহত হন।
আব্দুল ওয়াদুদ নিউমার্কেট থানার প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।