আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা-ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পলাশী মোড় থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহীদ মিনারের প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। শহীদ মিনারে ৪ স্তরে নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন থাকবে বোম ডিসপোজাল, সোয়াত টিম, টহল দল, ড্রোন, সাইবার পেট্রোলিং।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ১২টার পর প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
হাবিবুর রহমান আরও জানান, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ একাধিক সাপোর্ট টিম থাকবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের চারপাশে। এ ছাড়া ড্রোন পেট্রোলিং, সাইবার প্যাট্রলিং ও গোয়েন্দা পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন ওইদিন শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত ক্রসিংসহ ১৩টি মোড় বন্ধ থাকবে।
