জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বদলেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক খুদে বার্তায় মাহমুদুল হাসান জানান, জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বদলেছে সরকার। চিনির আগের দামই বহাল থাকবে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজার ও দেশীয় দামের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিকেজি চিনির দাম ২০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছিলেন, করপোরেশনের চিনি বাইরে বিক্রি খুবই কম। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় এই চিনি দেওয়া হয়। তবে বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। কেজি প্রতি ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বিএসএফআইসি সূত্রে জানা গেছে, বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য প্রতি কেজি আখের চিনির দাম ছিল ১৪০ টাকা।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয় মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ ছাড়া করপোরেশনের প্রতিকেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা। পাশাপাশি বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেসমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।