আওয়ামী লীগ তাদের দল পুনর্গঠন করতে পারে, এতে কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিতি আরও বলেন, “তবে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না।”
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের অন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দলের (আওয়ামী লীগ) অবদান অনেক। দেশের জন্য আওয়ামী লীগের অনেক অবদান আছে। আমরা যদি উসকানি দিতাম তাহলে আপনার টিকতে পারতেন না। আমরা সেনাবাহিনীকে গুলি না করতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কারণ আমরা কাকে মারবো, সবাই তো এ দেশের জনগণ।”
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা ব্যক্তিগত স্বার্থে এ বড় একটা দলকে নষ্ট করে দেবেন না। প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখলে হাজার-হাজার মানুষের রক্ত ঝরবে। এ অভ্যুত্থান দেশের তরুণ সমাজ করেছে। কোনো রাজনৈতিক দল করেনি। তরুণরা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে এ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। তাই অনুরোধ করছি, দয়া করে দেশকে শান্তিতে রাখেন।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “নিষিদ্ধ অস্ত্র যেগুলো বাইরে পাওয়া যায় না, যেগুলো সিভিলিয়ানদের হাতে যাওয়ার কথা না। সেটার অথরাইজ পুলিশ, র্যাবকে করা হয়েছিল। সেই অস্ত্র কীভাবে এদের হাতে গেল। একটা সিভিলিয়ান ছেলে ৭.৬২ রাইফেল হাতে নিয়ে চলে গেছে। তার মানে এই রাইফেল আর ফেরত আসেনি। একটা দেশে এটা হতে পারে। এ কেমন কথা, আমি এমন স্বৈরাচার ব্যবস্থা দেখিনি।”
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “যাদের হাতে এই অবৈধ অস্ত্র আছে আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা নির্দিষ্ট থানায় জমা দেবেন। যদি জমা না দেন তাহলে দুইটা চার্জ লাগবে, একটা অবৈধ অস্ত্র, আরেকটা সরকারি নিষিদ্ধ অস্ত্র আপনাদের হাতে। সেটার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতেও যাওয়া যেতে পারে।”