পবিত্র ঈদুল ফিতরে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ঘিরে পাঁচ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান। তিনি বলে, “ঢাকার সব মসজিদে নিরাপত্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকায় কেএনএফ সদস্যদের নাশকতার ঝুঁকি নেই।”
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহ মাঠ ও ১৪৮৮ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি, বোম ডিসপোজাল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিমও রয়েছে।”
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, “পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়ানো কেএনএফের সদস্যরা রাজধানীতে ঢোকার কোনো তথ্য নেই। তবুও তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
জাতীয় ঈদগা মাঠে নারী পুরুষসহ এবারও একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নিতে পারবেন। মাঠের মূল অংশে ১২১টি কাতারে মধ্যে ৫১টি কাতারে নারীরা অংশ নিতে পারবেন। ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। এছাড়া ঈদগাহের বাইরে পুরো এলাকা প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়।
ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।