• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম প্রচারে কেউ পদক্ষেপ নেয়নি : প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৩, ১১:৩১ এএম
ইসলাম প্রচারে কেউ পদক্ষেপ নেয়নি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর ইসলামের নাম নিয়ে অনেকে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ইসলাম ধর্ম প্রচার-প্রসারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

রোববার (৩০ জুলাই) সকালে পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, “৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। আমি ১০ তলা ভবন নির্মাণ করে দিই। সব জেলায় স্থায়ী অফিস ছিল না, মাত্র ৩৪টি জেলায় অফিস ছিল। আমি সরকারে আসার পর প্রতিটি জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জন্য অফিসের ব্যবস্থা করে দিই ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।”

শেখ হাসিনা বলেন, “২০১৩-১৪ সালের মতো বিএনপি-জামায়াত আবারও আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে। গতকাল দেখেছেন, কতগুলো বাস পুড়িয়েছে। চলন্ত বাস, ট্রেনে তারা আগুন দিয়েছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়েছে, সবখানে আগুন দিয়েছে। ২০১৩-১৪ তে পুড়িয়েছে। গতকালও আমরা তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের নমুনা আবারও দেখলাম।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশ গড়েছেন, অন্যদিকে ইসলাম প্রচারের জন্য টঙ্গীতে ইজতেমার জায়গা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্মাণ করেছেন। কাকরাইলে মসজিদের জায়গা দিয়েছিলেন, অল্প খরচে বাংলাদেশের মানুষকে হজে পাঠানোর জন্য জাহাজের ব্যবস্থা করেছিলেন।”

সরকারপ্রধান বলেন, “বঙ্গবন্ধু মাদ্রাসা বোর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে জাতির পিতার আমলেই।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৯৬ সালে আমি যখন ক্ষমতায় আসি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ভবন ছিল না। আমি ১০তলা ভবন করে দিয়েছি। সব জেলায় স্থায়ী অফিস ছিল না, মাত্র ৩৪টি জেলায় অফিস ছিল। আমি সরকারে আসার পর প্রতিটি জেলায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের জন্য অফিসের ব্যবস্থা করে দেই ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।”

শেখ হাসিনা বলেন, “ক্ষমতায় আসার পর আমি যখন বায়তুল মোকাররমের উন্নয়নকাজের ব্যবস্থা হাতে নিলাম। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ওই সময় খালেদা জিয়া এই মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। ৮ বছর পর আমরা আবারও ক্ষমতায় আসি, এরপর নতুনভাবে মসজিদটি নির্মাণ করি।”

মুষ্টিমেয় কয়েকটি মানুষের জন্য পবিত্র ধর্ম ইসলাম বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গিবাদের সঙ্গে কারও ছেলেমেয়ে যেন জড়িত না হয়। শুক্রবার জুমার খুতবার সময় সকলকে সামাজিক বিষয়গুলোতে সচেতন করুন। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন জঙ্গিবাদে জড়িত না হয়।”

পঞ্চম ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!