দেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “আমাদের উন্নয়ন অনেকেই চোখে দেখেন না। আমরা যুবকদের কর্মসংস্থান করেছি। আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া হাজার হাজার যুবনেতাদের হত্যা করেছেন।”
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবকদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। তারাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে।”
যুবকদের দেশ গড়ার কাজে মনোযোগী হতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে যুবলীগ। তারাই দেশের শক্তি। দেশ গড়ার কাজে তাদের মনোযোগী হতে হবে।”
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
এতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঞ্চালনা করেছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এর আগে, শুক্রবার দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার উপস্থিতির আনন্দে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশস্থল।
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ওই সমাবেশ। প্রথমে হয় সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান। এতে যুব মহাসমাবেশের মঞ্চ কাঁপিয়েছেন শিল্পী মমতাজ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই যুবলীগের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমানের ক্রমধারা বর্ণনা ও তার সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠান ছিল অসাধারণ।
এশিয়ার বৃহৎ এ যুব সংগঠনের উৎসবমুখর এই আয়োজনে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ যুবক মিলিত হয়েছেন। যোগ দিয়েছেন হালের সেরা চিত্রনায়কদের অন্যতম রিয়াজ, ফেরদৌস ও চঞ্চল চৌধুরী।