স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “সিভিল ড্রেসে আর কোনো অভিযান চালাতে পারবে না ডিবি। ডিবি পরিচয়ে আর কাউকে তুলেও নেওয়া যাবে না।”
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ডিবি কার্যালয়ে আর কোনো ভাতের হোটেল বা আয়নাঘর থাকবে না বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ‘আয়নাঘর’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খুনসুটি করে তিনি বলেন, “আয়নাঘর বলতে কিছু থাকবে না, এখানে ভাতের হোটেল বলেও কিছু থাকবে না। এখন ডিবিকে শুধু একটা অনুরোধ করব, যে পুকুরটা আছে (ডিবির সামনে), সেটি আয়নার মতো পরিষ্কার করে দেন। পুকুরটা হবে আয়নার মতো পরিষ্কার।”
সীমান্তের নিরাপত্তা ইস্যুতে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “মিয়ানমার সীমান্তে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সেই লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা রয়েছে। আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী উভয় পক্ষের সঙ্গেই বাংলাদেশ যোগাযোগ রাখছে। মিয়ানমার সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি আছে। বাংলাদেশের সীমান্ত বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই আছে।”
রাজধানীসহ সারা দেশে চলমান অপরাধের বিষয় তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দেশে যে পরিমাণ ছিনতাইকারী বেড়েছে, ঠিক তেমনভাবে গ্রেপ্তারও করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।”
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সচিবালয়ের সামনে যেসব পুলিশ সদস্য আন্দোলন করেছেন, তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। বাদ পড়া পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রমাণ পেলে আর তাদের নেওয়া হবে না।”
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, “আমি যদি কোনো দুর্নীতি করি, আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) প্রকাশ করে দেন। তবে সত্যি ঘটনা প্রকাশ করেন। যদি কোনো অপকর্ম করি, সেটি বলে দেন। তবে যেটা করিনি, সেটা বইলেন না। মিথ্যা সংবাদ....যেমন আপনারা ইন্ডিয়ান মিডিয়ারে খুব ভালো কাউন্টার দিয়েছেন। আপনারা সত্যি সংবাদ প্রকাশ করায়, সবাই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা সত্যি সংবাদ প্রকাশ করায়, এখন তারা খুব একটা (মিথ্যা সংবাদ) প্রচার করছে না। এখন অনেকটা কমে গেছে।”