সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়কে। ইতিমধ্যে যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
ডয়চে ভেলেকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া সাক্ষাৎকারে তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, “নিবর্তনমূলক যে আইনগুলো আছে, যেগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেবে, সেগুলো বাতিল অথবা সংশোধন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা আইনটিও পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে।”
ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের দেড় মাসে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কয়েকটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তি করার অভিযোগেও হয়েছে মামলা।
এসব মামলার ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, সে নির্দেশনাও রয়েছে। এ ব্যাপারে তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ বলেন, “যারা মামলা করেছেন তাদের আমরা চিনি না। আমরা নিরুৎসাহিত করছি।”
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজের তথ্য অনুযায়ী, তৎকালীন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৬টি মামলা হয়েছে। পরে যেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিণত হয়। সেসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪ হাজার ৫২০ জনকে।
আসামিদের যাদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সংখ্যায় বেশি, ৪৯৫ জন। এরপরেই রয়েছেন সাংবাদিক, ৪৫১ জন। এ ছাড়া রয়েছেন সরকারি চাকুরে, চিকিৎসক, এনজিও কর্মী, আইনজীবী, ছাত্র ও শিক্ষকরা। মামলার বাদিদের মধ্যে শীর্ষে র্যাব, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতারাই সবচেয়ে বেশি মামলা করেছেন, ৩৩৪টি।