ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেয়নি চেম্বার আদালত। তবে আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব ও নাজমুল হুদা। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা অনুসারে আমান উল্লাহ আমান বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমপর্ণের পর আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৭ আগস্ট ২৮১ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। একই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর এবং সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। ৩০ মে হাইকোর্ট এ রায় দেন। এরপর গত ৩০ মে এ মামলায় আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন হাইকোর্ট।