ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলার প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হবে। এই আন্দোলনে দেশের সবাইকে গণজমায়েতের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি বৈঠক ডাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল। বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপাচার্যের নিজ বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। এতে বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ভিসি মাকসুদ কামাল।
মাকসুদ কামাল বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আজ রাতে সব প্রভোস্টরা হলে অবস্থান করবেন। কোনো হলে বহিরাগত কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না।”
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এগুলো মধ্যে রয়েছে,
* শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব হলে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান।
* প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে সার্বক্ষণিকভাবে হলে অবস্থান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
* হলসমূহে কোনো বহিরাগত অবস্থান করতে পারবেন না।
এছাড়াও যেকোনো ধরনের গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো পাশাপাশি সবাইকে নাশকতামূলক কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেউ নাশতকতামূলক কাজে জড়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়।
