খালের পানি থেকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করতে ভারতীয় নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য নিতে প্রক্রিয়া শুরু করল দেশটির সিআইডি। রোববার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই খুনের ঘটনায় আটক জিয়াদ হাওলাদারের দাবি ছিল, আজিমের দেহের হাড় এবং মাথার অংশ টুকরো টুকরো করে ভাঙড়ের পোলেরহাট থানা এলাকার কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে ফেলা হয়েছে। সেখানে সাত দিন ধরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়েও কিছু পাওয়া যায়নি। খালের পানি নোংরা, ঘোলা এবং মাটি ভর্তি। উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ওই হাড় বা মাথার খুলির অংশ উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছেন সিআইডির কর্তারা।
সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, ওই উন্নততর প্রযুক্তি রয়েছে নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে। তাই তাদের ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি চালালে সাংসদের দেহের ওই অংশ উদ্ধার করা যেতে পারে। এটা ধরে নিয়েই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে নিউ টাউনের বিলাসবহুল আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে যে মাংসপিণ্ড উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো আনারের কিনা তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। মাংসপিণ্ড উদ্ধার হলেও আজিমের দেহের হাড় কিংবা মাথার অংশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি সিআইডি।
তদন্তকারীরা আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওই ফরেন্সিক রিপোর্ট আসবে। তা পজেটিভ হলে এমপির মেয়ে কিংবা তার কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ের জন্য পাঠানো হবে ল্যাবরেটরিতে। প্রায় একই সঙ্গে হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করা গেলে তদন্তের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের বরাতে আনন্দবাজার বলছে, নেপালে আটক হয়েছে এই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সিয়াম হোসেন। যদিও ভারতের সিআইডির তরফে ওই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। সিয়ামকে হাতে পেতে সবরকম চেষ্টা চলছে বলে সিআইডি জানিয়েছে।
কলকাতার নিউ টাউনের আবাসনে গত ১৩ মে আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়। জানা যাচ্ছে, তার দেহ টুকরো টুকরো করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সিয়ামের। ঘটনার কয়েক দিন পরেই সিয়াম কলকাতা থেকে উত্তরপ্রদেশের মজফ্ফরপুর হয়ে নেপাল চলে যায়।