অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক লে. জে (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
জাহাঙ্গীর আলম ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কর্পসে কমিশন করেন। একজন গানার হিসেবে তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কমান্ডিং টু আর্টিলারি ব্রিগেডস এবং ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
লেফট্যানেন্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর সামরিক একাডেমির প্রশিক্ষক ছিলেন। এরপর তিনি ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডে একটি গ্রুপ টেস্টিং অফিসার (জিটিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, রুয়ান্ডা এবং জর্জিয়াতে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক ও স্টাফ হিসেবে তিনটি ভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে কাজ করেছিলেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এবং স্টাফ কলেজে এবং ঢাকা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের স্নাতক।
ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বঙ্গ সেনা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) প্রধান ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ছিলেন ও একই সময়ে তাকে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। তাকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বলার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। এ ঘটনার মাধ্যমে ২০০৮ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহে তার উত্তরাধিকারী মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ও তার স্ত্রী নাজনীন হোসেন শাকিল শহীদ হন। এরপর কিউএমজি হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন। ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেনাবাহিনী থেকে ৩ তারকা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।