আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা মেডিকেল সেন্টারের (ইউএনএমসি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, ক্যানসার চিকিৎসা ও পেশেন্ট সেইফটি বিষয়ে সহযোগিতার লক্ষ্যে এ সমঝোতা করা হয়।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, প্যাথলজিস্ট, অ্যানেসথেসিস্ট ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে কীভাবে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দেশে মানসম্মতভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় সেই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশ চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে সম্ভব্য যৌথ উদ্যোগ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং ইউএনএমসির পক্ষে চ্যান্সেলর জেফরি পি গোল্ড নেতৃত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে সমঝোতার স্মারকটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্ম-কৌশল নির্ধারণে শিগগিরই উভয় পক্ষের মধ্যে আরও নিবিড় আলোচনা ও যোগাযোগ হবে মর্মে দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বিদ্যমান জনবল, অবকাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে আমেরিকার ইউএনএমসি প্রতিনিধিদের অবহিত করেন এবং লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, ক্যান্সার চিকিৎসা ও পেশেন্ট সেইফটি বিষয়ে করণীয় জানতে চান। পাশাপাশি এসব বিষয়ে বাংলাদেশে মানসম্মত চিকিৎসা সেবায় সম্ভব্য সহযোগিতা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
আন্তরিকতা ও মনোযোগ সহকারে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের কথা শোনেন এবং সম্ভব্য সব সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন ইউএনএমসি কর্তৃপক্ষ। এসময় ইউএনএমসি কর্তৃপক্ষ করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাংলাদেশের উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে আগ্রহ প্রকাশ করাসহ এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা মেডিকেল সেন্টারের আমন্ত্রণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল যুক্তরাষ্ট্র্র সফরে যান।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিশেষজ্ঞ সার্জন অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, ক্যান্সার সার্জন খন্দকার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল হাসান, ল্যাবরেটরি মেডিসিনের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. রেয়াজুল হক উপস্থিত ছিলেন।