অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মশাল মিছিল করে এনসিপি। তার আগে সেখানে সমাবেশ করেন দলের নেতাকর্মীরা।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। একটি দল নির্বাচন নির্বাচন করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে যাচ্ছে।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সরকারের বৈধতা নিয়ে মন্তব্যের বিষয়ে এনসিপি নেতারা বলেন, “সরকারের বৈধতা জুলাইয়ের রক্ত। যেই আইনের মাধ্যমে আপনাদের শত শত মামলা প্রত্যাহার হয়েছে, আপনারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন- সেই আইন এই সরকারের বৈধতা। শুধু একটি নির্বাচনের জন্য মানুষ রক্ত দেয়নি। তাই আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার যতদিন না হবে, ততদিন জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।”
এ সময় সরকারকে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, শেখ হাসিনার বিচার করার দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, নিজাম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন শিশির, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মো. রাকিব হোসেন রাজ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ প্রমুখ।
এর আগে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের অগ্নিদগ্ধ বাড়ি পরিদর্শনে যান রুহুল কবির রিজভী। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, “সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক বা আইনগতভাবে এ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে তারা প্রত্যেকেই এ সরকারকে সমর্থন করেছে। সে অনুযায়ী তারা দেশ চালাচ্ছেন।”
বিএনপির এ জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, “যারা ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা আজ এ জনসমুদ্রের ভেতর কোথায় লুকিয়ে আছে তা অন্তর্বর্তী সরকারকে বের করতে হবে। তাদের খুঁজে বের করতে না পারলে এ সরকারকে মানুষ ব্যর্থ বলবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ সরকার নির্বাচন নিয়ে কী টালবাহানা করছে তা আমরা দেখছি। এ সরকার তো গণতন্ত্র সংগ্রামের ফসল। তাদের তো প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহি থাকতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে, মানবেন্দ্র ঘোসের বাড়িতে আগুন লাগল কী করে।”