প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। হেমন্ত মানেই মাঠে মাঠে সোনালি ধানের হাসি। কার্তিক পেরিয়ে বুধবার (১৬ নভেম্বর) অগ্রহায়ণের প্রথম দিন।
গ্রামাঞ্চলে নতুন ফসল ঘরে তোলে, বাঙালিয়ানা খাবারে মেতে থাকে গ্রামীণ জনপদের মানুষেরা। এদিনে ‘নবান্ন উৎসবে’ মেতে থাকে গ্রামীণ জনপদ। পুরোনে বাঙালিয়ানা ধাঁজের নবান্ন উৎসব মুখরতা না থাকলেও কম-বেশি সেই ঐতিহ্য এখনো অনেকেই ধরে রেখেছেন।
ইট-পাথরের দালান কোঠার এ শহরে গ্রামীণ আবহে নবান্ন উৎসব পালন যেন প্রাণের স্পন্দন জাগানোর এক নতুন অনুষঙ্গ।
এমনই স্পন্দন জাগাতে ঢোলে-বাদ্যে নগরে কৃষকদের আনন্দ উদযাপন করতে ‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বুধবার শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো ২৪তম জাতীয় নবান্ন উৎসব। সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয় এ উৎসব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধনকালে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নবান্নের এ উৎসব যুগের পর যুগ ধরে গ্রাম-গঞ্জে হয়ে আসছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীতে ঘটা করে উদযাপন করা হচ্ছে এই নবান্ন উৎসব।”
এসময় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুল রশিদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
উৎসবে আগতদের জন্য ছিল খই, মুড়ি, পিঠাপুলির ব্যবস্থা। বিকাল পাঁচটায় শুরু হয় নবান্ন উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব যা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ২৪টি সাংস্কৃতিক সংগঠন সারা দিন এই উৎসব পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছেন।