আজ (২২ অক্টোবর) জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস । সপ্তমবারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হচ্ছে এবার। ‘আইন মেনে সড়কে চলি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুল ‘ প্রতিপাদ্যে এবার পালিত হচ্ছে জাতীয় সড়ক দিবস।
সড়ক দুর্ঘটনারোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)। নিসচার পক্ষ থেকে প্রতিবছর ২২ অক্টোবরকে নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানানো হয়।
২০১৭ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রতিবছর দিবসটি উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি নিসচাসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে উন্নত ও দক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগ পরিবহন খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে দেশব্যাপী গড়ে তোলা হয়েছে বিস্তৃত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১’ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব মহাসড়ক ছয় লেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আট লেনে উন্নীতকরণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর ক্ষতিগ্রস্ত সব সড়ক ও সেতু মেরামত করে যোগাযোগ অবকাঠামো পুনঃস্থাপন করেন। তিনি ১৯৭৪ সালের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল সেতু পুনর্নির্মাণ করে চলাচলের উপযোগী করেন, পাশাপাশি তিনি ৪৯০ কি.মি. নতুন সড়ক নির্মাণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জাতির পিতা সড়ক পরিবহন খাতকে অগ্রাধিকার প্রদান করে আধুনিক সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু করেন।