রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা থেকে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতি দেওয়া ও বাদীর নারাজির আদেশ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ জুলাই নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলী এই তারিখ ধার্য করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে জানান, বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল আদেশের তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত ১ জুন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলা থেকে দুজনের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিন এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে তার বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেন মামলার বাদী।
এর আগে গত ১৪ মার্চ নতুন করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলাটি তদন্ত করত গুলশান থানা। গত বছর ৩০ অক্টোবর ওই থানার এসআই সোহেল রানা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে দুই আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন। গত ৩ মার্চ মামলার বাদী নারাজি আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল পিবিআইকে নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
গত বছর ১ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ অভিযোগ দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলাটিতে মুশতাককে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী সহযোগিতা করেন বলে বাদী উল্লেখ করেন। কিন্তু এই মামলা দায়েরের পর জানা যায়, মুশতাক ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। হাইকোর্টে হাজির হয়ে ওই ছাত্রী নিজে জবানবন্দি দিয়ে জানান, মুশতাককে তিনি স্ব-ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন।
এবারও তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলার ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়নি এবং তাকে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাদীর মেয়ে স্বেচ্ছায় আসামি মুশতাককে বিয়ে করেছেন।
মামলার বাদী জানান, আজ আদেশ দেননি বিচারক। ৪ জুলাই নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।