রাজধানীর হাতিরঝিলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিটিভির সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাহানুমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সাগর বলেন, হাতিরঝিল লেকের পানিতে ভাসমান অবস্থায় ওই নারীকে দেখতে পাই। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ১০ ঘণ্টা আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের লোকেশন দিয়ে ফাহিম ফয়সালের সঙ্গে সারা তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আপনার মতো একজন বন্ধু পেয়ে ভালো লাগল, ঈশ্বর আপনাকে সর্বদা আশীর্বাদ করুন। আশা করি আপনি শিগগিরই আপনার সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করবেন, আমি জানি আমরা একসঙ্গে অনেক পরিকল্পনা করেছি। দুঃখিত আমাদের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারিনি, ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন।”
এ ছাড়া ১১ ঘণ্টা আগে অন্য আরেকটি স্ট্যাটাসে সারা লেখেন, “জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভালো।”
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, “আমরা মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রেখেছি। ঘটনাটি হাতিরঝিল থানা পুলিশকে জানিয়েছি।”
রাহানুমা সারাহ জি-টিভির নিউজরুম এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। সারাহ নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে।
নিহতকে নিয়ে আসা পথচারী মো. সাগর জানান, হাতিরঝিল লেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাকে দেখতে পাই। পরে ঢামেকে নিয়ে আসি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।