ঢাকা-১৮ আসনকে আধুনিক ও বাসযোগ্য করাই আমার লক্ষ্য বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৮ আসনের কেটলি মার্কার প্রার্থী মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি।
বুধবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরখানের কাঁচকুড়া এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে এসব কথা বলেছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এই প্রার্থীর মিডিয়া সেল।
এদিন খসরু চৌধুরী উত্তরখান থানার চামুর খান, ময়নারটেক, চাঁনপাড়া, মাস্টারপাড়া ও দক্ষিণখান থানার কাওলা এলাকায় গণসংযোগ চালান। এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু, উত্তরখান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
খসরু চৌধুরী বলেন, “জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, অবৈধ দখলদারিত্ব, লাগামহীন যানজট, ত্রুটিপূর্ণ ময়লা নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ অসংখ্য সমস্যা রয়েছে ঢাকা-১৮ আসন এলাকায়। আমি এমপি নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা দূর করে এই এলাকাকে আধুনিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাবো। গরিব ও দুস্থদের সহায়তায় নিজ উদ্যোগে কে সি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছি। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দুস্থদের আর্থিক সাহায্য এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা আমাকে এ আসনে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিলে আমি নাগরিকদের সিটি কর্পোরেশনের নিকট থেকে প্রাপ্য সকল সুযোগ-সুবিধা সুনিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পদক্ষেপ গ্রহণ, রাস্তা উন্নয়ন, নির্মাণ ও সংস্কার করা, সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা উন্নয়ন ও গ্যাস প্রবাহ সমস্যার সমাধান করা হবে। মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন ও বিনামূল্যে ওয়ার্ডভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হবে। মাদক, সন্ত্রাস, ঘুষ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে একটি করে খেলার মাঠ নির্মাণ, মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য শিশু, কিশোর ও যুবকদের মাঝে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদান করা হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়ন, দরিদ্রদের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা ও স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান। কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে বেকার যুব সমাজের বেকারত্ব দূরীকরণ করা হবে। ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে একটি বয়স্ক পূর্নবাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। অঞ্চলভেদে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সরকারি হাসপাতাল ও কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, স্কুল, কলেজ, স্থাপন ও উন্নয়নে কাজ করা হবে। সেক্টর কল্যাণ সমিতিগুলোতে নিয়মিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সু-ব্যবস্থা করা হবে। মশক নিধন অভিযান জোরালো করা হবে। কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।-‘প্রেস বিজ্ঞপ্তি’