• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খুনিরা মৃতদেহ কুচি কুচি করে, মাংস ফেলে সেপটিক ট্যাংকে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম
খুনিরা মৃতদেহ কুচি কুচি করে, মাংস ফেলে সেপটিক ট্যাংকে
আনোয়ারুল আজীম। ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর তার মরদেহকে টুকরা টুকরা করতে কিমা করার যন্ত্র ব্যবহার করেছিল খুনিরা। ভারতের সিআইডি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

তদন্তকারীদের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় আটক সিয়াম হোসেন কলকাতার নিউমার্কেটের একটি দোকান থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ওই যন্ত্র কিনেছিল। প্রমাণ গায়েব করতেই কিমা করার ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই সূত্রের দাবি। 

সিআইডির একাংশ এ-ও দাবি করেছে যে ওই যন্ত্রে পুরো মাংস কিমা করা যায়নি। তাই ছোট ছোট খণ্ড করে তা ফেলা হয়েছিল নিউ টাউনের ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংকে। সেপটিক ট্যাংকে থেকে প্রায় পাঁচ কেজি মাংসখণ্ড উদ্ধারও করেছে সিআইডি। সেগুলো মানুষের কি না, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত ১২ মে কলকাতায় এসেছিলেন আজিম। ১৩ মে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন আজিম। দেশটির সিআইডি তদন্তে নেমে প্রথমে বাংলাদেশের নাগরিক কসাই জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তার করা হয় সিয়ামকে। এ ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হয় আমানুল্লা ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমানসহ চারজনকে। তবে ওই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী এবং এমপির বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীন, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর পলাতক।

ভারতের সিআইডি সূত্রের খবর, খুনের পর আনারের মরদেহের ছবি তুলে তা বাংলাদেশের কয়েকজনকে পাঠিয়েছিল আমানুল্লা। মৃতদেহ যাতে কেউ খুঁজে না পায় তার জন্য কিমা এবং খণ্ড করা মাংস সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার পর হাড়গুলো ফেলা হয়েছিল ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে। তদন্ত চালাতে গিয়ে সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি ওই স্থান থেকে কুড়িটি মানুষের হাড় উদ্ধার করেছে। সেগুলোও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Link copied!