রোববার (১০ মার্চ) সকালে এলিফ্যান্ট রোডে ফুটপাতের ওপর একজনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে নিউ মার্কেট থানায় খবর দেন সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ওমর। তিনি উপস্থিত হয়ে রক্তাক্ত মরদেহ পেয়ে ঠিকানা শনাক্তের চেষ্টা করেন। তবে তার ঠিকানা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
পরবর্তীতে একজন ভাসমান ব্যক্তি জানান, নিহতের নাম মাপুন ওরফে কাটা মাপুন ওরফে ব্লেড মাপুন। প্রায় ৩ বছর ধরেই তিনি (নিহত মাপুন) এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ভাসমান হিসেবে বসবাস করছেন।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় মূল অভিযুক্ত মো. হোসেন নামের একজনকে মগবাজারের ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম বলেন, “হত্যাকাণ্ড উপায় না পেয়ে আমরা সিআইডির ক্রাইম সিন টিমের শরণাপন্ন হই। তারা এসে নিহতের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে নাম-ঠিকানা বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে মৃতের পরিচয় শনাক্তের সর্বাত্মক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ওমর বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয় নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পাভেল আহমেদকে। তিনি মামলার দায়িত্বভার নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেন। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকলেও ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন।”
ওসি বলেন, “ওইদিন ভোর ৫টা ১৯ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি বাটা সিগন্যাল ক্রসিং থেকে কাঁটাবন ক্রসিংয়ের দিকে হেঁটে গিয়ে নিহত মামুনকে কোনো একটা ভারী বস্তু দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে দ্রুত চলে যান। পরে রিকশায় করে ঘাতক হাতিরপুলের দিকে চলে যান। এর ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বিভিন্ন স্থাপনা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন এবং বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ান।”
আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, “ঘাতকের চেহারা পর্যালোচনা করে এবং গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৩৬ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হয়। সবশেষ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মো. হোসেনকে মগবাজারের ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।”