শর্ত সাপেক্ষে এক টাকার খবরের সম্পাদক সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে কারওয়ান বাজারে অফিস থেকে বের হওয়ার পর কিছু লোক তাকে ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্নী সাহাকে নিয়ে যাওয়ার পর শতাধিক ব্যক্তি তার ‘বিচারের’ দাবিতে স্লোগান দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্নী সাহাকে থানা থেকে মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
এদিকে মুন্নী সাহাকে পরিবারের জিম্মায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।
রেজাউল করিম বলেন, “মুন্নী সাহাকে আটক করা হয়নি। কারওয়ান বাজারে লোকজন তাকে ঘেরাও করেছিল। তখন তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডিবিতে আনা হয়। যেহেতু তার নামে চারটি মামলা আছে, সেগুলোতে জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় নায়েম হাওলাদার (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন। ওই ঘটনায় ২২ জুলাই নায়েমের বাবা কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আসামি তালিকায় মুন্নী সাহাসহ সাতজন সাংবাদিকের নাম রয়েছে।
বাকি ছয় সাংবাদিক হলেন একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এডিটর-ইন-চিফ মোজাম্মেল হক বাবু, টেলিভিশনটির সাবেক চিফ নিউজ এডিটর (সিএনই) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সময় টেলিভিশনের পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল করেসপন্ডেন্ট ফারজানা রুপা, সাবেক হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ ও শেখ হাসিনার প্রেস সেক্রেটারি নাঈমুল ইসলাম খান।
এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে মোজাম্মেল বাবু, ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে।