• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
ঘূর্ণিঝড় মোখা

৫ লাখ মানুষের জন্য প্রস্তুত দেড় হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০৮:৪২ এএম
৫ লাখ মানুষের জন্য প্রস্তুত দেড় হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে জারি করা হয়েছে মহাবিপদ সংকেত।

বর্তমান গতিপথ বজায় থাকলে রোববার (১৪ মে) দুপুর নাগাদ কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে মোখা। সে সময় ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বাতাসের গতি।

এ ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ক্ষতি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারকে অগ্রাধিকার দিয়ে পাঁচ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত করা হয়েছে দেড় হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র। নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলছে মাইকিং।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান অবশ্য আশাবাদী, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সরকার ‘সফলভাবে’ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

আবহাওয়া অফিস শুক্রবার (১২ মে) রাতেই কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে। আর পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ নদীপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার (১৩ মে) সকাল ৬টা থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-ফোর’ জারি করে জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মহেশখালীর নিকটবর্তী সাগরে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের স্থলভাগে তাপপ্রবাহ বয়ে চলার মধ্যে গত সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধাপে ধাপে শক্তিশালী হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বুধবারই (১০ মে) সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটির প্রস্তুতি সভা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। সেদিনই উপকূলীয় এলাকায় সব আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।        

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ধারাবাহিক সভার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১১ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উপকূলীয় অন্তত ২০ জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মিজানুর রহমান বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় ইতোমধ্যে ধান কাটা শেষ হওয়ায় এখন বড় ধরনের স্বস্তি। কিন্তু আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার, অবস্থানের সুব্যবস্থা, নারীর, শিশু ও বয়োঃবৃদ্ধদের বিশেষ নজর রাখাসহ যাবতীয় কাজগুলোর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।”

Link copied!